গল্প । একরাম আলি

তারপর একটা সাদা চাদর গল্পটাকে ধীরে ঢেকে দিল
বাচ্চারা জানতে চাইল— ‘এরপর কী হবে?’

ঝড় তো ততক্ষণে শেষ। যারা ফিরেই আসেনি
জাহাজডুবির কথা তারা কী করে বলবে?

ঘরের কোণে ঠেস দিয়ে রাখা
পুরোনো বন্দুকটিকে ঘিরে
সবাই ভিড় করেছে

যে-সব দেশে খুব তাড়াহুড়ো
অস্ত্রটি তেমনই এক দেশে তৈরি
তারাও জানে, জাহাজ ডুবে গেলে
আর কিছু ফিরে আসবে না

এই-যে পুরোনো যা-কিছু
সেসবের গল্প রংবেরঙের পালক দিয়ে সাজানো
তাদের সুর অনন্ত, কিন্তু শব্দ নেই

#ekramali #kobita #poetry

…………………………………………..

কলঙ্ক । বিশ্বজিৎ পণ্ডা

গোপালের মা, আমাকে ক্ষমা করো
আমি কিছুই পারলাম না
মিছিল থেকে পালিয়ে এলাম
জয়দেব বসুর বাড়ি
সে বলল, মিছিলে যা
এবার থেকে শেষে
শেষেই তো ছিলাম আমি
শেষে থাকার হিসাব বড়ই জটিল
কে থাকে, কেন থাকে, রহস্যময়
সেই মিছিল থেকে পালিয়ে এলাম
পালিয়ে আসতে আসতে, গোপালের মা হঠাৎ তোমার সঙ্গে দেখা
কী খাব আর থাকব কোথায়?
এই জগতের মাটি ওই জগতে করতে করতে
যখন প্রায় টেনে আনলাম –
তখন সবাই বলল, কলঙ্ক কলঙ্ক কলঙ্ক –

…………………………………………..

পুত্রকে । বিশ্বজিৎ পণ্ডা

শোনো বাবা, আমি দক্ষিণেশ্বর
ভবতারিণী মায়ের কাছে
বলেছিলাম, বউ-কাঁটকি মাকে
তুলে নাও মা। কিচ্ছু হয়নি।
মা এখনো বেঁচে। বউ
এখনো বেঁচে। তিনি কাউকে
অভিশাপও দিলেন না।
মাঝখান থেকে স্বর্গ থেকে
আমি বিদায় নিলাম।
নরক থেকেও বিদায়।
আমি আর কত হেঁচকাবো, মা!

#biswajitpanda #kobita #poetry

…………………………………………..

সমাধান । বের্টোল্ট ব্রেখ্‌ট ।
অনুবাদ : কৌস্তুভ বন্দ্যোপাধ্যায়

১৭ জুনের অভ্যুত্থানের পর
লেখক সংঘের সচিব বাহাদুর
স্তালিন রোডে ছড়িয়ে দিলেন চিঠি
যাতে লেখা –
‘সরকারের আর মানুষে ভরসা নেই
দ্বিগুন বেগে গতর খেটে তবে
ভরসা আবার জয় করতে হবে।’
সহজ হত না কি, ভেবে দেখুন,
লোকগুলোকে বাতিল করে যদি
সরকার মশাই বেছে নিতেন ভোটে
টাটকা নতুন
অন্য কোনো মানুষ?

…………………………………………..

চাকা পালটানো । বের্টোল্ট ব্রেখ্‌ট ।
অনুবাদ : কৌস্তুভ বন্দ্যোপাধ্যায়

রাস্তার ধারে বসে আছি
চাকা পালটাচ্ছে ড্রাইভার।
যেখান থেকে আসছি, আমার পছন্দ হয়নি
যেখানে যাব, তাও পছন্দ নয়
অধৈর্য হয়ে তবুও চেয়ে দেখি
চাকা পালটায়,
কেন, কে জানে?

…………………………………………..

আদর্শ । বের্টোল্ট ব্রেখ্‌ট ।
অনুবাদ : কৌস্তুভ বন্দ্যোপাধ্যায়

হাওয়া উঠলে
ভাসিয়ে দেব নাও
না জুটলে
ছবি এঁকে, দেওয়ালে গেঁথে দেব।

#brecht # kobita #poetry

…………………………………………..

অর্ধশতবর্ষের সহযাত্রী। অনিল আচার্য


প্রয়াত অরুণ কর্মকার

শ্রীঅরুণ কর্মকার-কে ধরা হত ষাট বছর ধরে চলা অনুষ্টুপ পত্রিকার এনসাইক্লোপিডিয়া। প্রায় বিশ বছর যখন তার বয়স, সে চালাত কামারশালা। হাওড়া জেলার জগদীশপুর গ্রামের পথের ধারে ছিল তার কামারশালাটি। বিশ্বকর্মার সন্ততিকুলের কর্মকাররা বংশানুক্রমে কাঁচি, হাতুড়ি, দা, কুড়ুল, হাঁসুয়া, গরুর গাড়ি বা মহিষে-টানা গাড়ির কাঠের চাকার ওপরের লোহার পাত ইত্যাদি লৌহজাত দ্রব্য নির্মাণ করত। ইস্পাতের রঙে তার গায়ের রং। খুব একটা লম্বা-চওড়া চেহারা নয়। মুখের হাসিটি অম্লান আর চোখে জিজ্ঞাসা। স্কুলে গিয়েছে, পড়েছেও। একটাই তার অভ্যাস, গোগ্রাসে বই পড়া। দারিদ্র্য তাকে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি করে তুলেছে। প্রশ্নগুলো তার কাছে সহজ নয়, বেশ জটিল। চোখের সামনে, যারা তার সঙ্গে স্কুলে পড়ত, তারা কেউ ডাক্তার, কেউ শিক্ষক, কেউ ইঞ্জিনিয়ার হয়ে গেল, কিন্তু তার সম্বল এই কামারশালা। অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে সামান্য আয়, কোনো রকমে সংসার চলে।
          তার বয়স যখন কুড়ি পেরিয়ে আরও দু-এক বছর অতিক্রান্ত, সে দেখল মধ্যবিত্ত তরুণ ছেলে-মেয়েরা শহর ছেড়ে গ্রামে যাওয়ার কথা বলছে। সমবয়েসি বা ছোট-বড় অনেকেই গরিব মানুষের তরফ থেকে অবিচার ও প্রতিবাদের কথা বলছে। মনের মধ্যে যেসব প্রশ্ন ও প্রতিবাদ গুমরে মরত, সেখানে কারা যেন ঘা মারছে, বলছে অত্যাচারের ও নিপীড়নের এই লৌহকপাট ভেঙে ফেলতে হবে। তার ঔৎসুক্য আরও বাড়তে থাকল। হাতে এল মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, লু-সুন, গর্কি, টলস্টয় সহ নানা লেখকের বই। সে ছুটল বন্ধুদের সঙ্গে উৎপল দত্তের, অজিতেশের নাটক দেখতে। দেখল ব্রেখ্‌টের নানা নাটক। বাড়িতে নানা সমস্যা, সেটাও অবহেলা করা যায় না। কিন্তু নাটক দেখা তার অভ্যাস হয়ে দাঁড়াল। কামারশালার টাকা পরিবারের গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য যথেষ্ট নয়। কিন্তু সেই সময়ে, ষাট-সত্তর দশকের দিনগুলো বহু মানুষকে বদলে দিল। সম্পন্ন-গৃহস্থ বাড়ির তরুণরা তার বন্ধু হয়ে উঠল। তারা মিছিলে যেত, সমাজ বদলের কথা বলত। অরুণ কর্মকার, কামারশালার কর্মকার অরুণ, ক্রমশ বদলে যেতে লাগল। নানাভাবে পত্রপত্রিকা ও বই সংগ্রহ করে মার্কসবাদী ধারণাগুলো সে বুঝতে চাইত। এভাবেই একদিন কলকাতার অভিনয় পত্রিকার সংস্পর্শে এল। হাতে এল সেই সময়ের ভাবনার একটি পত্রিকা, অনীক। সে অনীক পত্রিকা সংগ্রহ করে পড়তে শুরু করল। হাওড়ার অনেক অল্পবয়সি তরুণ তার কামারশালার এসে আড্ডা মারত। তারা অরুণের সঙ্গে প্রতিবাদের হাপরের আগুন পোহাত। ধনী, অত্যাচারী, শোষক ও শাসকশ্রেণির প্রতি ক্রোধ ও প্রতিবাদে জারিত হতে থাকল অরুণ। সে গ্রামে যাবে কেন? সে তো গ্রামেই আছে, কলকাতা থেকে জগদীশপুর হয়ত তিন ঘণ্টার পথ, কিন্তু রাস্তার ধারের এই গ্রামটিতেই সে বড়ো হয়েছে। এটাই তার সংগ্রামের জায়গা।
          জানার বাসনা উদগ্র, তাই সে আরো পড়তে চায়। মুখের কথায় নয়, লেখার মাধ্যমে জানতে চায়। অনীক বহরমপুর থেকে বেরত তখন, কিন্তু কলকাতায় অনেকগুলো পত্রিকা ছিল। স্লোগানধর্মী কথাবার্তা তার ভালো লাগত না। চাইত আরও গভীরে যেতে। অভিনয় পত্রিকা দপ্তরে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার। অভিনয় নাট্যবিষয়ক পত্রিকা। সেই সময় প্রতিবাদী ও বাম-মতবাদে আস্থাবান অনেক ছোট পত্রিকা প্রকাশিত হত। অরুণ সেই সব পত্রিকায় একটু একটু করে লেখা শুরু করল। একসময় নকশাল আন্দোলনের গতি স্তিমিত হল। ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় এল।
          ঠিক সেই সময় তার যোগাযোগ ঘটল অনুষ্টুপ পত্রিকার সঙ্গে। তখন পত্রিকাটি ছাপা হত নিউজপ্রিন্টে। ছাপা হত আলোচনা, সমালোচনা ও মননধর্মী নানা লেখা। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সুতীক্ষ্ণ লেখালিখি। অনুষ্টুপ-এর তখন বসার জায়গা নেই। বিবেকানন্দ রোড ও বিধান সরণির সংযোগস্থলে একটি প্রেস, সেখানে অনুষ্টুপ ছাপা হত। কাছাকাছি সাঙ্গুভেলি রেস্টুরেন্ট ছিল, এখন আর নেই। তিন-চার কাপ চা খেয়ে বড়জোর ঘণ্টাখানেক বসা যেত। তার ওপর ফ্যান চলত না। উঠে যেতে হত। তখন হত ফুটপাতে বসে প্রুফ দেখা। ক্রমশ এই পত্রিকাটিকে তার ভালো লাগতে লাগল। ভেবেছিল একদিন সে এই পত্রিকাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে।
          ১৯৮০ সালে নবীন কুণ্ডু লেনে অনুষ্টুপ-এর দপ্তর হল। সেখানেই অরুণের আনাগোনা। তখন বইমেলার বছর তিনেক হয়েছে। অনুষ্টুপ স্টলে সে নিয়মিত আসত। এভাবেই নিয়মিত পাঠক কেবল নয়, একদিন অনুষ্টুপ-এর একজন হয়ে উঠল অরুণ। অরুণ ভালো পাঠক, একটু-আধটু লেখালিখিতে হাত পাকাচ্ছিল সে। কামারশালা চালিয়ে যতটুকু সময় পেত সেই সময়টুকুতে প্রুফ দেখতে শুরু করল। অনুষ্টুপ-এর প্রুফের দায়িত্বে তখন সিদ্ধার্থ দত্ত। সে নিয়মিত সিদ্ধার্থের পাশে বসে কীভাবে প্রুফ দেখতে হয়, শিখতে থাকল। হয়ে উঠল অনুষ্টুপ-এর একজন। বইমেলা চালানো, প্রুফ দেখার দায়িত্ব নিল। বইমেলায় অনুষ্টুপ-এর স্টল তখন একশো থেকে দুশো ফুট হয়েছে। স্টলটি চালান সম্পাদকের স্ত্রী মীনা বৌদি। একসময় অরুণ ভাবল, সে কামারশালা চালিয়ে সাহিত্যজগতের সঙ্গে বেশিদিন সম্পর্ক রাখতে পারবে না। ক্রমে তার দুটি কন্যাসন্তান পাত্রস্থ হল। একমাত্র পুত্র বড় হল। কামারশালা আর চলছিল না। দারিদ্র্যের মধ্যেও সে লেখাপড়ায় অটল থাকল। ধূমপান ও মদ্যপানে একটু একটু করে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছিল সে।
          কামারশালা বন্ধ হবার পর কলেজ স্ট্রিটে সামান্য বেতনে প্রুফরিডার হল অরুণ। অনুষ্টুপ-এর তেমন সামর্থ্য না থাকায়, অন্য একটি প্রকাশনায় প্রুফ দেখা ছাড়াও সর্বক্ষণের কাজ নিল। সকাল এগারোটা থেকে রাত আটটা-ন’টা হয়ে যেত। বছর দুয়েকের মধ্যে ফিরে এল অনুষ্টুপ-এ। ২০০১ থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত সে অনুষ্টুপ-এর অন্যতম অভিভাবক। প্রুফ দেখা ছাড়াও ডাকে আসা গল্প-প্রবন্ধ ইত্যাদি নিয়ে তার মতামত সে প্রকাশ করত। সম্পাদক কখনো মানতেন, কখনো মানতেন না। কিন্তু সেসব নিয়ে তার কোনো ক্ষোভ ছিল না। নিরলসভাবে সত্তর বছর বয়স অবধি সে এই কাজটি করে গিয়েছে।
          ২০২৩ থেকে অরুণের শরীর ক্রমশ ভেঙে পড়ছিল। বার বার শ্রীরামপুর শ্রমিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অনুষ্টুপ-এর চেনাজানা চিকিৎসকরাও তাকে সাহায্য করেছে। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে সে ক্রমশ আরও অসুস্থ হয়ে পড়ল। অনুষ্টুপ-এর হীরক জয়ন্তী বর্ষ সংখ্যা প্রকাশিত হবার সময় কলকাতায় আসতে পারত না। সম্পাদককে প্রায়ই বলত—‘অনিলদা, ভাববেন না, সুস্থ হয়ে আবার আমি নিয়মিত অনুষ্টুপ-এ যাব।’
          আর ফিরল না অরুণ। অনুষ্টুপ-এর ষাট বছরে, বালাই ষাট যেন ধ্বনিত হল তার মুখে। সে চলে গেল চিরকালের মতো।

#anushtup #anilacharya #arunkarmakar

…………………………………………..

শীতকাল। সপ্তর্ষি মণ্ডল

এক ছিল জঙ্গলে ঢাকা বিরাট পাহাড়। প্রতিদিন সূর্য পাহাড়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বলত, আসি। পাহাড়ের মাথায় একটা গুহা। সিংহ আর বাঘ, সেখানে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকে। শিয়াল মেরে একজন আর একজনকে বলে, খাও ভাই। একদিন সিংহ বাঘকে বললে, ‘আচ্ছা বলো দেখি, কখন শীত পড়ে?’ বাঘ জবাব দিল, ‘কেন, রাজামশাই যখন শিকার খেলতে জঙ্গলে তাঁবু ফেলেন, সেটাই শীতকাল! এ তো সবাই জানে।’
– ‘উঁহু, কাকভীরু যখন অভিগমন করে, সেটাই শীতকাল।’
– ‘হ্যাঁ, তা বইকি!’
– ‘হ্যাঁ, তুমি তো সব জান!’
– ‘জানি কিনা সোনাচড়াই ঠিক করে দিক।’
– ‘বেশ কথা, করে দিক।’
সব শুনেটুনে সোনাচড়াই তো হাঁ: ‘তোমরা দুজনেই ভুলে গেলে! যেদিন আমরা সবাই জাহাজে চড়েছিলাম, সেইটা ছিল শীতকাল।’
          বাঘ সিংহ তখন গরগর করে, গা-ঝাড়া দেয় আর ভাবে – হতেই পারে না! জীবনেও আমরা জাহাজে চড়িনি, কক্ষনো নয়। সোনাচড়াইটা কী বোকা!

#golpo #story

…………………………………………..


বিজ্ঞাপন সহযোগী ডিজে কুমার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের সৌজন্যে

তুমি । অলকা সাহা

১। শূন্যগগনবিহারী
২। অসীমগগনবিহারী
৩। সন্ধ্যাস্বপনবিহারী
৪। বিজনজীবনবিহারী
৫। মুগ্ধনয়নবিহারী
৬। জীবনমরণবিহারী

তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা বলে, রবীন্দ্রনাথ একটি গান লিখেছেন। মনে হয়, ৯ আশ্বিন ১৩০৪ সালে (ইং ১৮৯৭), চলন বিল বলে একটা জায়গায় বসে উনি এটা লিখেছেন। এই কি সেই বুড়ো আংলার চলন বিল? অনেকে গেয়েছেন গানটি। না গাইলেই অন্যায় হত। গানে, ওই শব্দগুলো, ঠিক অমনি করে পরপর চলে আসে।
          শব্দগুলো, অমন পরপর, কেন চলে আসে? কী ভেবেছেনটা কী, রবীন্দ্রনাথ? এ গান শুনতে শুনতে আত্মহত্যার কথা ভাবেন কেউ কেউ। রবীন্দ্রনাথও কি ভেবেছিলেন, সুর ভাঁজতে ভাঁজতে?

…………………………………………..

মাতাল তরণী । অলকা সাহা

… একদিন উয়ো খত ওয়াপস মিলা
ঔর ডাকিয়ে নে ইয়ে কহা
ইস ডাকখানে মে নেহি
সারে জমানে মে নেহি
কোই সনম ইস নাম কা
কোই গলি ইস নাম কি
কোই শহর ইস নাম কা
হমনে সনম কো খত লিখা…

আনন্দ বকশীর লেখা শক্তি (১৯৮২) ছবির একটি গানের কিছু পঙক্তি এগুলো। সুরকার, রাহুল দেব বর্মন। পরিচালক, রমেশ সিপ্পি। চিত্রনাট্যে সেলিম-জাভেদ। অভিনয় করেছিলেন দিলীপ কুমার, অমিতাভ বচ্চন, রাখী, স্মিতা পাতিল, কুলভূষণ খারবান্দা, অমরিশ পুরী প্রমুখ। সেটা কথা না। কথা হচ্ছে, ওই পঙক্তিগুলোর সঙ্গে যথেচ্ছ রবীন্দ্রনাথ, বোদল্যেয়র, র‍্যাঁবো ঢেলে পিএইচডি থিসিসের নামে দিব্যি একটি খিচুড়ি প্রস্তুত করা যেতে পারে। কলকাতার বিশেষ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ একটি বিভাগ এই কাজটিই করতে উৎসাহ দেয়। এবং আনন্দ বকশীকে পাত্তা দেয় না। লেখাপড়ার জগতে এঁদের অবদান: একটি ফুটকি। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে, বর্গীয় জ অক্ষরটির পাছার তলায় সেই তিনি ভর করেন। করলে, জিভ সামলে। কারণ ওটি আর আপনার জিভ নেই, জিভাগো হয়ে গেছে।
          ওই ফুটকিটা কবে আমরা মায়া করে দেব?

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কথাগুলো যদি শক্ত ঠেকে, রবীন্দ্রনাথের ডাকঘর নাটকটি পড়লেই, জলের মত সোজা ঠেকবে।

#montobyo #commentary

…………………………………………..

দেখা হয়েছে: বার

5 1 vote
Article Rating
guest
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
সার্থক রায় চৌধুরী
সার্থক রায় চৌধুরী
17 days ago

খুব ভাল লাগল।

1
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x